ধারাবাহিক গল্প :- জীয়ন কাঠি কলমে :- ছন্দশ্রী দাস পঞ্চম পর্ব

ধারাবাহিক গল্প :- জীয়ন কাঠি
কলমে :- ছন্দশ্রী দাস
পঞ্চম পর্ব
নিমিষা ঘরে এসে ভাবে, বাহ বস তাহলে বেছে বেছে সবাইকে ডেকেছে যারা সায়েন্সের সাথে জড়িত । তার মানে বসের কিছু একটা উদ্দেশ্য আছে। কি সেই উদ্দেশ্য ?আর হঠাৎ করে তিনি লাইব্রেরী রুমের দায়িত্ব তাকে দিলেন কেন ?তাহলে কি ঐ লাইব্রেরী রুমে কোন রহস্য আছে? কাল নটার আগে কিছু জানা যাবে না। এখন ঘুমনো যাক।
কিন্তু তার ঘুম আসে না। সে ভাবে আচ্ছা সবাই তো একই বংশের কই কারও সঙ্গে তো কারো মুখের কোনো মিল নেই। একমাত্র রাহুলের সঙ্গেই তার চেহারার মিল আছে। প্রত্যেককে আলাদা দেখতে কি করে হয়। একই বংশের মানুষ হলে তাদের চেহারায় একটা সামঞ্জস্য তো থাকবে।
তবে কি এরা সবাই অমলেন্দু মিত্রর ভাড়া করা লোক। শুধু তার সাথেই অমলেন্দুর আত্মীয়তা?কি জানি বাবা কি ঘোর প্যাঁচের ব্যাপার।আজকাল তো সম্পত্তির জন্য সবাই সব কিছু করতে পারে। এরাও হয়তো তাই। আর সবাই নিশ্চয়ই চাকরি করে।কোন কোম্পানি একজন এমপ্লয়িকে ছয় মাস ছুটি দেয় ? এতদিন ছুটি দেবার বদলে কোম্পানি তাদের ছাঁটাই করে দেবে। ওরা কি তবে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখানে এসেছে? কিন্তু কেন?কী তাদের উদ্দেশ্য?যাকগে ওসব ওদের ভাবনা চাকরি থাকল কি গেল।সে তো আর পড়া ছাড়ছে না। এখন তো ঘুমোই।
পরের দিন নিমিষার সকাল পাঁচটায় ঘুম ভেঙে যায়। কিছু সময় বিছানায় এপাশ ওপাশ করার পর বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামে। দেখে সবার ঘরের দরজা বন্ধ। সিসি ক্যামেরা গুলো রাক্ষসে চোখ মেলে তাকিয়ে আছে। ওদের দিকে তাকিয়ে নিমিষা খানিকটা মুখ ভেঙ্গিয়ে নেয়।মনে মনে বলে বুড়ো ঠিক জেনে যাবে। এর হাত থেকে কিভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়? তারপর নিচে এসে লনে যাবার জন্য বাড়ির বাইরে যেতে গিয়ে দেখে গেটে তালা ।
সে কি করবে ভাবছে এমন সময় গোপালদা আসে জানতে , কি দিদিমণি কি হলো ?
আমি একটু বাইরে লনে পায়চারি করব। কিন্তু গেটে তালা দেওয়া।
আমি খুলে দিচ্ছি কিন্তু বাইরে যে রাক্ষস দুটো রয়েছে তার কি হবে ?
দেখি না ওদের ট্রেনারকে পটাতে পারি কিনা! তাহলে সে তাদের বেঁধে রাখবে।
গোপালদা হেসে বলে ,এমন চাঁদপানা মুখ দেখে সবাই পটবে বলে তালা খুলে দিয়ে হেসে চলে যায়।
গোপালদার হাসিটা নিমিষার খুব চেনা লাগে কিন্তু বুঝতে পারে না। সে ভয়ে ভয়ে বাইরে পা রাখে। তাকে দেখতে পেয়েই হাউন্ড দুটো তীব্র গতিতে ছুটে আসে। তাদের ট্রেনার চিৎকার করে বলে স্টপ ববি টবি। সাথে সাথে ওরা থেমে যায়।
নিমিষা সাহসে ভর করে একপা দুপা করে এগোতে থাকে। ওদের ট্রেনার এগিয়ে এসে ববি টবিকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখে। তারপর বলে, ম্যাডাম এরকম হুটহাট করে বাইরে বেরোবেন না। সবসময় ববি টবি খোলা থাকে। অচেনা কাউকে দেখলেই ছিঁড়ে ফেলবে ।
নিমিষা মনভুলানো হাসি হেসে বলে ,আমি বুঝতে পারিনি। আমি নিমিষা ,আপনি ?
আমি রণজিৎ সিংহ ।
নিমিষা হেসে ফেলে ।বলে বাহ সিংহ ট্রেনিং দিচ্ছে হাউন্ডদের ।তারা তো দুর্দান্ত হবেই ।তবে সিংহ মশাই একটু এই অধমের প্রতি দয়া করতে হবে ।ওদের সাথে আমাকে একটু ভাব করিয়ে দেবেন তাহলে আমি রোজ মর্নিং ওয়াক করতে পারি ।
নিমিষার কথায় রণজিৎ হেসে ফেলে। বলে ম্যাডাম বুঝি খুব ভোরে ওঠেন!
হ্যাঁ আমার খুব ভোরে উঠে বাগানের পায়চারি করা অভ্যাস ।ভোরের টাটকা তাজা বাতাসে থাকে প্রচুর প্রাণশক্তি আমি তা গ্রহণ করি ।কথা বলতে বলতে এলোমেলো ভাবে হাঁটতে হাঁটতে নিমিষা ববি টবির কাছাকাছি চলে আসে ।তাকে দেখেই ওরা চঞ্চল হয়ে ওঠে ।
রণজিৎ বলে, লুক ববি টবির সি ইজ মাই ফ্রেন্ড , এন্ড ইওর ফ্রেন্ড অলসো। হ্যান্ডসেক করো। নিমিষাকে বলে হাতটা বাড়িয়ে দিন ওরা হ্যান্ডশেক করবে।
নিমিষা কিছুতেই হাত বাড়াবে না । তবে ওরা খুব ভালো করে নিমিষার গায়ের গন্ধ শুকে নিল । তখন নিমিষা ভয় ভেঙে আস্তে আস্তে তার হাত বাড়িয়ে ববি টবির সাথে হ্যান্ডশেক করে।
ছয়টা বাজার আগেই নিমিষা বলে আজ চলি সিংহ মশাই আবার কাল আসবো। বলে জগিং করতে করতে বাড়িতে ঢুকে যায় ।
রনজিৎ বোকার মত আওড়াতে থাকে সিংহ মশাই। নিমিষা বাড়িতে ঢোকার আগে পিছু ফিরে রনজিৎকে হাত নাড়ে।
রণজিৎ আপ্লুত হয়ে হাত নাড়তে থাকে।
ঘরের ভেতর থেকে অমলেন্দু রণজিৎ কে হাত নাড়তে দেখে ভাবেন ও কাকে দেখে হাত নাড়ছে ?তিনি তৎক্ষণাৎ টিভি অন করেন কারকে দেখতে পান না। ভাবেন সিসি ক্যামেরা কি কাজ করছে না !দেখেন এইতো কাজ করছে। এইতো সব কাজের লোকদের দেখা যাচ্ছে। তবে রনজিৎ কাকে দেখে হাত নাড়লো !তিনি খুব ধন্ধে পড়ে যান ।
বাড়িতে ঢুকতেই গোপালদার সাথে তার ধাক্কা লাগে আর ওর হাতে একটা কাগজের গুলি চলে আসে ।সে অতি দ্রুত ওপরে নিজের ঘরে চলে আসে ।তার বুক ধড়ফড় করে। কাগজটা অতি সাবধানে খুলে দেখে তাতে লেখা সাড়ে চারটা থেকে ছয়টা বন্ধ থাকবে কেউ ধরতে পারবে না। পড়ে নিমিষার মুখে হাসি ফুটে ওঠে ।সে কাগজটা ছিঁড়ে কমোডে ফেলে দেয় ,তারপর ফ্ল্যাস টেনে দেয়। ফুরফুরে মন নিয়ে বাথরুমে যায় । বাথরুম থেকেই দরজায় ঠকঠক করে আওয়াজ শুনতে পায়। সে বলে একটু ওয়েট করুন আসছি ।দশ মিনিট বাদে বেরিয়ে ঘরে দরজা খুলে দেখে চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শিপ্রা। গুড মর্নিং বলে চা তার ঘরে রেখে চলে যায়।নিমিষা চা নিয়ে বসে ।তারপর মোবাইল খুলে দেখে কি ম্যাসেজ আছে। সব মেসেজ পড়ে মোবাইলে গান শুনতে থাকে ।
পাক্কা আটটায় ডাইনিং টেবিলে এসে উপস্থিত হয়। সবাইকে গুড মর্নিং জানিয়ে নিজের জায়গায় বসে। ব্রেকফাস্ট সার্ভ করা হয়ে গেছে। সে খেতে শুরু করে। খাওয়া শেষ হলে সে বলে ,স্যার আজ থেকে তাহলে লাইব্রেরী রুম পরিস্কার করি!
অমলেন্দু বলেন, তুমি আর কৃদন্তী দুজনে মিলে করবে। কৃদন্তী কাজ করতে করতে তুমি ওখানে তোমার রিসার্চের অনেক বই পেয়ে যাবে। আর তোমার যদি কোন জায়গায় আটকে যায় তো আমার কাছে চলে আসবে।
অনির্বাণ ,শ্যামল ,শুভময়, তন্ময় তোমরা ল্যাবরেটরি পরিষ্কার করবে ।
আর বাকি তোমরা যেমন করছো তাই করো।
নিমিষা লাইব্রেরী ঘরে গিয়ে ভাবে হঠাৎ অনির্বাণ শ্যামল তন্ময় ওদের তিনজনকে ল্যাবে কেন পাঠাল? তবে কি ওরা কিছু করবে! মাঝে এক ফাঁকে ল্যাবে হানা দিতে হবে।
নিমিষা লাইব্রেরী রুমে ঢুকে দেখে বিশাল বড় লাইব্রেরি। প্রতিটি আলমারি পরিষ্কার করতে তার প্রায় 4-5 দিন লেগে যাবে ।যদিও কৃদন্তী আছে সাথে।
ঘরে ঢুকে নিমিষা বলে ,কৃদন্তী আমি ডান দিক থেকে পরিস্কার করছি। তার আগে দেখে নিই পুরো লাইব্রেরীটা কি বল?
কৃদন্তী বলে ,হ্যাঁ ।
কি কি বই আছে দেখি। নিমিষা ঘুরতে ঘুরতে বলে শুধু বিজ্ঞানের বই নয় গো সব ধরনের বই রয়েছে। বাবা জিম করবেটের পুরো সমগ্র রয়েছে ।আমার ফেভারিট ।শিকার কাহিনী পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। সাহিত্যের বই রয়েছে ।দেখেছো ফিজিক্সের উপর কত বই ।তুমি কি বিষয় নিয়ে রিসার্চ করছো ।কোনো জবাব না পেয়ে নিমিষা ঘুরে দেখে কৃদন্তী একটা বই নিয়ে টেবিলে বসেছে। ওভাবে ফিজিক্সের বই এখানে রয়েছে তাহলে ও কি বই পড়ছে! কোন কথা না বলে নিমিষা আলমারি খুলে বই বের করে মুছে আবার ঢুকিয়ে রাখে। বই গুলো খুলে খুলে দেখে। কাজের ফাঁকে কৃদন্তীর পাশের চেয়ারে গিয়ে বসে একটু বিশ্রামের জন্য। আড় চোখে তাকিয়ে দেখে কৃদন্তী একটা গোয়েন্দা কাহিনী পড়ছে। ওর মনে খটকা লাগে কিছু বলে না ।একটু বিশ্রাম নিয়ে জল খেয়ে আবার কাজে লেগে যায়। প্রায় দুটো আলমারি পরিষ্কার করে ফেলে। লাঞ্চের সময় এসে যায় ।লাঞ্চ করে এসে কৃদন্তী আবার বই নিয়ে বসতে গেলে নিমিষা বলে, কৃদন্তী এবার তুমি একটু কাজ করো আমি একটু আমার পড়া দেখি ।যদি আটকে যাই তুমি বুঝিয়ে দিও।
কৃদন্তী নিমিষার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, তুমি তোমার কাজ করো আমাকে জ্ঞান দিতে হবে না ।
নিমিষা বলে, কিন্তু এই লাইব্রেরী পরিষ্কার করার কাজটা তো আমাদের দুজনের মিলে করার কথা। তুমি যদি শুধু বসে বসে গোয়েন্দা কাহিনীর পড়ো তাহলে কি করে হবে! কাজ তো সব আমাদের দুজনকেই করতে হবে । সকালে আমি কাজ করবো। লাঞ্চের পর তুমি কাজ করবে ,আমি বিশ্রাম করব। এই ভাবেই ভাগাভাগি করে কাজ করতে হবে।
কৃদন্তী রাগে মুখ লাল করে বই বন্ধ করে আলমারির বইগুলো সাফ করতে থাকে। নিমিষা একমনে একটা বই পড়তে পড়তে হঠাৎ দেখে বইয়ের কয়েকটা লাইন লাল কালি দিয়ে আন্ডার লাইন করা। ওভাবে কি ব্যাপার এত সাধারন জিনিসটার তলায় আন্ডার লাইন করা কেন? ‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে’ সে তো সবাই জানে । কেউ তোমাকে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে তুমিও তাকে ফিরে আঘাত করবে। এটা কি তবে ইচ্ছে করেই করা হয়েছে। কথাটা কি তাকে উদ্দেশ্য করে বলা । মনে তো হচ্ছে তাই। তবে কি তার সকালে যাওয়ার ব্যাপারটা জানাজানি হয়ে গেল !নাকি ঘরের মোশন এ্যান্ড সাউন্ড সেন্সেটিভ ডিভাইস খুলে ফেলার ব্যাপারটা!
নিমিষার মন পড়া থেকে চলে যায়। সে বইটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে। আনমনে পাতা উল্টাতে উল্টাতে দেখে এক জায়গায় লেখা রয়েছে ‘দেখো রে নয়ন মেলে জগতের বাহার ‘নিমিষার মুখে হাসি ফুটে ওঠে ।সে হাতের লেখাটা কাটতে থাকে। মনে মনে গোপালদা কে অনেক ধন্যবাদ জানায়। তাকে আরো সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। এই ঘরের ভেতর কিছু রহস্য আছে। কি সেটা সে বুঝতে পারে না । তার মনে গোপালদাকে নিয়ে স্ট্রাইক দেখা দেয়। নিমিষা ভাবে গোপালদাকে হাত করতে হবে। সে শুধু কাজের লোক নয়। তার ভিতরে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে।
সে পড়া ছেড়ে উঠে পড়ে। বইটা পরে পড়বে বলে নিজের কাছে রাখে। কিন্তু সে উঠে কোথাও কৃদন্তিকে দেখতে পায় না। সে আবার আলমারি পরিষ্কার করতে থাকে ।কিন্তু তার মনের মধ্যে ঘুরতে থাকে গেল কোথায় কৃদন্তি!
নিমিষা খুব আস্তে আস্তে ঘর হতে বের হয়ে আসে। দরজার সামনে একটু দাঁড়ায়। সিসি ক্যামেরায় চোখ যায়।
সে আবার ঘরে ঢুকে আসে। ভাবে কি করে ওর খোঁজ পাই।এমন সময় কৃদন্তি ঘরে ঢুকে তাকে ঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকতে একটু থতমত খেয়ে বলে, কি পড়া হয়ে গেল?
নিমিষা বলে ,নাহ সবে তো শুরু। তাই ভাবলাম ঘরে গিয়ে পড়ব। আগে হাতের কাজ শেষ করে নিই। তা বই থেকে মুখ তুলে কোথাও তোমাকে দেখতে না পেয়ে ভাবছিলাম আরে এই বিশাল প্রাসাদে তুমি হঠাৎ কোথায় গায়েব হয়ে গেলে?
কৃদন্তি বলে, গায়েব আবার হব কোথায়? একটু টয়লেটে গিয়েছিলাম হালকা হতে।
নিমিষা বলে, দেখেছ আমার যা বুদ্ধি। সত্যিই তো এতক্ষণ ধরে কাজ করতে গেলে প্রাকৃতিক ডাক তো আর থেমে থাকে না। তার ডাকে সাড়া দিতে হয়। আমি শুধু শুধু বোকার মত চেপে আছি। এখানে কোথায় গো টয়লেট?
কৃদন্তি অন্য কথায় চলে গিয়ে বলে আরে পাঁচটা তো বাজতে চলল ছুটির সময় হয়ে গেছে। আমি ঘরে যাচ্ছি। যা ধুলো। আগে গিয়ে স্নান করতে হবে ভালো করে।
নিমিষা বলে ,তুমি তাহলে যাও। আমি আর একটু কাজ এগিয়ে রাখি। ঘরে ঝুল ও হয়েছে খুব। ঝেড়ে রাখি। কাল গোপালদা ঝাড়ু দিয়ে দেবে।
কৃদন্তি বেরিয়ে গেলে ঝুল ঝাড়তে ঝাড়তে নিমিষা ভাবে কৃদন্তি আমাকে মিথ্যা কথা বলল কেন? এই ঘরের লাগোয়া তো একটা টয়লেট রয়েছে আর সেটা ঝকঝকে। তবে কি সে অন্য কোথাও অন্য কারো সাথে দেখা করতে গিয়েছিল? কার সাথে? অমলেন্দুর সাথে সে দেখা করতেই পারে। কিন্তু তাই যদি হয় সে কথা সে চেপে গেল কেন? নাহ মনে হচ্ছে কৃদন্তী অন্য কারো সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। কিন্তু তাই যদি হয়ে থাকে তো স্যারের সিসি টিভিতে সব দেখা যাবে। নাহ্ মেয়েটাকে একটু নজরে রাখতে হবে। আর তার আগে এই ঘরের সিসি ক্যামেরা গুলোর একটা গতি করতে হবে। সব সময় কেউ আমার ওপর নজর রেখে চলুক তা হতে পারে না। নিমিষা উঁচু আলমারি থেকে বই পাড়ার জন্য যে সিঁড়ি মই আছে তাতে উঠে সিসি ক্যামেরায় একটা করে মোটা কাগজ আঠা দিয়ে সেঁটে দেয় ।
ক্রমশঃ
**************