শিরোনাম: স্মৃতির সীমান্তে মৃত্যুর সাঁঝবাতি কলমে:- শুভ্রতনু রায়

শিরোনাম: স্মৃতির সীমান্তে মৃত্যুর সাঁঝবাতি
কলমে:- শুভ্রতনু রায়
যেখানে স্বপ্ন আকাশ ছোঁয়—
সেখানে মৃত্যু, কেবল এক সীমানা নয়;
তা এক বিস্মৃত রাত্রির সুদূর দিগন্ত—
যেখানে পাহাড়েরা ব্যর্থ ভালোবাসার উচ্চতা মাপে,
আর নীলনদের বুকে গোপন বিষাদের গভীরতা।
পিরামিডের পাথরে জমে থাকা নিঃশ্বাসের মতো,
আশার হাওয়া নামে—
শুষ্ক বালুর পানে যেন প্রাচীন প্রতিজ্ঞা
দিকচিহ্নহীন কালের খসে যাওয়া অলিন্দে
আমি ছুঁতে চাই সেই মৃত্যুর রেখা,
যেখানে কেবল অস্তিত্ব হারায়,
অথচ কিছু জন্মও হয় অবিনশ্বর।
মানুষের ভিড়ে হেঁটে যায় মুখহীন পরিচয়,
চেনা-অচেনা পথ ধরে বয়ে যায় নিঃস্বতা,
স্টেশনের কুয়াশাভেজা রাত্রিতে
হতাশার স্বপ্ন দেখে নিঃস্ব একদল ভবঘুরে,
যাদের জন্য কেউ অপেক্ষা করে না।
নতুন শহরের রাজপথে,
একটি নিস্তব্ধ স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছিল—
মোনুমেন্টের নীল প্রহরে,
নতুনেরা এসেছিল—
কিন্তু তাদের হাতে ছিল কেবল মৃত বর্ণমালা।
মৃত্যুর সীমানা থেকে নেমে আসে
ঝরে যাওয়া তারা—
ক্লান্ত স্বপ্নের মতো,
আকাশে কারো চোখে জমে থাকা অশ্রুতে।
পিপাসার লাল চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে মৃত্যু,
নিঃশব্দ শব্দের বিপরীতে,
আর আমি—
আমি এসেছিলাম নীল বাংলার প্রান্তরে
যেখানে শেষ মুহূর্তের আগে
একটি স্বপ্ন মুখ রাখে মৃত সমাধির বুকে।
গভীর থেকে গভীরতর ছায়ায় জেনেছিলাম—
মৃত মানুষের হৃদয়ও একদিন কথা বলত,
যারা যুগের পর যুগ ধরে কেবল ক্ষয় হয়েছে
নিঃশব্দ অভিমান হয়ে।
আজ, মৃত্যু শুধু সীমারেখা নয়—
তা বহু দূর বিস্তৃত আমার শহরের পথে,
চত্বরের নিস্তব্ধতায়,
পিছনের অন্ধকারে জমে থাকা কষ্টে
একটি প্রশ্নের মতো:
“মৃত্যুর পরে কি সত্যিই কিছু থাকে?”