ধারাবাহিক গল্প :- জীয়ন কাঠি কলমে :- ছন্দশ্রী দাস চতুর্থ পর্ব

ধারাবাহিক গল্প :- জীয়ন কাঠি
কলমে :- ছন্দশ্রী দাস
চতুর্থ পর্ব
নিমিষা অমলেন্দুর অনুমতি নিয়ে রাহুলের সাথে দেখা করতে যায়। সে ঘরে ঢুকতেই রাহুলের মুখ হাসিতে ভরে যায় ।সে ঠোঁট নেড়ে কিছু বলে ।নিমিষা গিয়ে রাহুলের হাতটা ধরে বলে, দাদা ভাই কেমন আছো ?রাহুল হাসে তারপর মাথা নাড়ে ।নিমিষা বোঝে রাহুল ভালো নেই ।সে রাহুলের নার্সকে বলে আমি একা কিছুক্ষন দাদা ভাইয়ের সঙ্গে থাকতে চাই। নার্স রাগত মুখে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়।
নিমিষা ঘরের চারিদিক ভাল করে চেয়ে দেখে বুঝতে পারে ঘরে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। তাকে অতি সাবধানে থাকতে হবে ।আর বোঝে সিসি ক্যামেরা বাড়ির সব জায়গায় লাগানো আছে। কিন্তু কেন সেটা তার মাথায় আসে না। ভাবে যে বাড়িতে মাত্র দুইটি প্রাণী বাস করে সেই বাড়িতে কেন সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে? তাহলে কি তারা এসেছে বলে তাদের লক্ষ্য রাখার জন্য এই সমস্ত ব্যবস্থা! এর মধ্যে কি কোনো গভীর চক্রান্ত আছে ?কি সেই চক্রান্ত ?তা তাকে বের করতেই হবে।আর রাহুল তো এই চক্রান্তের মধ্যে পড়ে না। তাহলে রাহুলের ঘরে কেন ক্যামেরা ?
সেভাবে যে করেই হোক এই ক্যামেরা গুলো সব নষ্ট করতে হবে। সে মোবাইলে লেখে সিসি ক্যামেরা আছে? রাহুল তা দেখে ঘাড় নাড়ে। আবার লেখে, তুমি সবকিছু চিন্তা করতে পারো ?রাহুল ঘাড় নাড়ে। নিমিষা আর কিছু লেখে না ।সব ডিলিট করে দেয় ।
কিছু সময় রাহুলের সাথে নিজের ছোটবেলার গল্প, ঠাকুরমার গল্প করে চলে আসে নিজের ঘরে । তারপর ভাবতে বসে সারা বাড়ি পরিষ্কার করার কাজ কেন দিল? বাড়ি তো পরিষ্কার । তবে কি কোনো জিনিস খোঁজার জন্য তিনি এই কাজ দিয়েছেন ?
হয়তো এমন কিছু হারিয়েছে যা তিনি কোথায় রেখেছেন তা কিছুতেই মনে করতে পারছেন না । একদিকে ভালোই হলো এই ঝাড়পোঁছ করার নামে সারা বাড়ি তার নখদর্পণে হয়ে যাবে। তারপরে আবার ভাবে সবাইতো রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাহলে একমাত্র সে ছাড়া আর কেউ রাহুলের সঙ্গে দেখা করার কোনো আগ্রহ দেখালো না কেন? তাদেরও তো একটা ইচ্ছা জাগতে পারত ! নাহয় রাহুল ইনভ্যালিড। তাতে কি!
সাড়ে নটার ঘণ্টা বাজতেই সবাই ডিনার টেবিলে আসে। সবার মুখ তুম্বো। শুধু দীপন আর তিতিক্ষা গল্প করতে থাকে নিজেদের মধ্যে।
ডিনার শেষ হলে অমলেন্দু বলেন ,কাল সকাল আটটায় ব্রেকফাস্ট ।বেড টি ঘরে পৌঁছে যাবে। সকাল 9 টা থেকে 12 টা পর্যন্ত কাজ। তারপর দুপুর একটায় ডিনার ।আবার দুটো থেকে পাঁচটা পর্যন্ত কাজ ।ব্যাপারটা আমি ক্লিয়ার করতে পেরেছি তো!
সবাই মাথা নাড়ে । তিনি গুডনাইট বলে বিদায় নেন। ওরা সবাই নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকে ।
সুবোধ কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে ,ভাইরে কোনদিন এক গ্লাস জল গড়িয়ে খাইনি এখন ঝাড়ুদার হতে হবে। আগে জানলে এই বুড়োর গুহায় কে ঢুকতো! পালিয়ে যাব তার উপায় নেই। আমি ঘরের জানলা দিয়ে দেখেছি সারাদিন ওই রাক্ষসী হাউন্ড দুটো ছাড়া থাকে। কুকুরে আমার বড় ভয় ।
তার বলার ভঙ্গিতে সবাই হেসে ওঠে ।
অনির্বাণ বলে ,এত ছেলেমানুষ হলে চলবে না। একটু বড়ো হতে হবে।
তিতিক্ষা বলে , দুটো আরশোলা নিয়ে ছেড়ে দেবো অনিদা! অনির্বাণ ভয়ের ভঙ্গী করে বলে, তুই আমার বোন হোস এমন বলতে নেই।
কৃদন্তী বলে, কেউ কারোকে ভয় দেখাবে না। আমরা সবাই এখন ভয়ের দেশে আছি ।আচ্ছা আমাদের সবার তো আগে একে অপরের সাথে পরিচয় হয়েছে। নিমিষার সাথে আমাদের আগে কখনো দেখা হয়নি। নিমিষার কথা শুনি।
নিমিষা বলে, আমার বাড়ি মুকুন্দপুর। তোমরা কখনো যাও নি। বিশাল বাড়ি তার একধারে আমি আমার ঠাকুমাকে নিয়ে থাকি। আম, জাম ,কাঁঠাল, কলা, নারিকেল ,সুপারি ,বাগান ।পুকুর গরু-ছাগল ,খরগোশ, ময়না, কাকাতুয়া নিয়ে আমার সংসার। ঠাকুরমা মুড়ি ছোলা বাদাম ভেজে লোকের বাড়ি বাড়ি বিক্রি করে। আচার করে ,কাঁথা সেলাই করে ।
আমি কলেজে পড়ি ।গান গাই, টিউশনি করি।
দীপন বলে, বাহ তুমি তো অনেক গুণের মেয়ে ।তোমার মত এই ক’টা গুণ যদি হতো তো এদের মায়েদের জীবন তোরে যেত।
তিনজনে একসাথে দীপনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
দীপন আত্মরক্ষার ভঙ্গিতে চিৎকার করে বলে ,অয়ি রণরঙ্গিনী নারী ক্ষান্ত দাও এই অধমকে । না জানিয়া ভিমরুল চাকে ঢিল ছুঁড়িয়াছি ।
আমরা ভিমরুল আর তুই কিরে বেয়াদব !
সময় পার হয়ে যায় ।রাত 11 টার ঘন্টা বাজতে সবাই যে যার ঘরে চলে যায় ।অমলেন্দু নিজের ঘরের সিসিটিভিতে তাদের দেখতে থাকেন ।তার মুখে হাসি ফুটে উঠে ।মনে মনে কি ভাবেন তা প্রকাশ পায় না ।
নিমিষা ঘরে ঢুকে ভালো করে চারিদিকে তাকিয়ে দেখে। তারপর আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ে । ভাবে ইশ ওরা কত সুন্দর নিজেদের মধ্যে হাসি মজা করে ।আরো আগে কেন তার এইসব ভাই বোনদের সাথে তার পরিচয় হলো না ।তাহলে সেও একটা আত্মীয়তার বন্ধন অনুভব করত।
হঠাৎ তার মনে আসে আচ্ছা সব দাদুর বাড়ি ছেড়ে চলে গেল কেন ?আর গেল যখন আর কখনো ফিরে এল না কেন?
তাদের এত বড় বাড়ি সব ভেঙে ভেঙে পড়ছে। অত জমি জায়গার কোন ব্যবস্থা নেই । ঠাকুরমা তো কখনো একথা বলেনি কি এমন হয়েছিল যে সব দাদুরা বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। এমনকি তাদের বাবা-মা মারা যেতে শুধু দেখে চলে গিয়েছিল। আর কখনো আসেনি কেন এটা তাকে জানতে হবে। আর ঠাকুমার সব সময় তার নিজের ছেলের মৃত্যু নিয়ে চুপ করে থেকেছে। কি করে বাবা-মা দুজনে একসাথে দুর্ঘটনায় মারা গেল ? তবে কি ওটা কোনো দুর্ঘটনা ছিলনা! তাদের মেরে ফেলা হয়েছে ?কে জানে। আবার বড় দাদুর ছেলে, বৌমারও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ।এর মানে কি? তার নিজের দাদুর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না ঠাকুমা বলে। তবে কি সেই নিয়ে কোনো গোলমাল হয়েছিল যার জন্য সবাই এক কথায় বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল? তাদের পুরো জমি জায়গা তার ঠাকুমার নামে করে দিয়েছিল বুড়ো দাদু। সেই নিয়ে রাগ হতেও পারে। যদি তা হয় নিমিষা সবার মনের রাগ দূর করবে ভালোবাসা দিয়ে। ভাবতে ভাবতে নিমিষা ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়।
পরের দিন সকালে ঘুম ভাঙে। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সে শোনে ঘড়িতে পাঁচটা বাজল। সে বিছানা ছেড়ে উঠে জানলার কাছে আসে ।একজন লোক কুকুর দুটোকে ট্রেনিং দিচ্ছে। কি জোরে দৌড়ায় আর কত উঁচুতে লাফ দিচ্ছে। নিমিষা বুঝে যায় অমলেন্দুর অনুমতি না নিয়ে এই বাড়ির বাইরে একটা পাও রাখা যাবে না। হাতমুখ ধুয়ে বিছানা গুছিয়ে চেয়ারে বসতেই বাইরে থেকে ঠক ঠক আওয়াজ আসে ।দরজা খুলতেই কালকের সেই মহিলা চা নিয়ে দাঁড়িয়ে । নিমিষা হেসে তাকে জিজ্ঞেস করে তোমার নাম কি?
শিপ্রা বলে চলে যায় ট্রলি ঠেলে নিয়ে অন্য ঘরে ।
নিমিষা ভাবে , হুঁকোমুখো হ্যাংলা বাড়ি তার বাংলা,মুখে হাসি নেই দেখেছ! চায়ের ট্রের ঢাকনা খুলে দেখে চা-বিস্কুট ও পেস্ট্রি রয়েছে। সে প্রথমে টি পট থেকে চা ঢেলে খায়। তারপর মোবাইল খুলে দেখে কি কি মেসেজ এলো ।গৌর দাদা লিখেছে সবাই ভালো আছে।
নিমিষা লেখে আমিও ভালো আছি । তারপর কিছু বন্ধুবান্ধবের সাথে চ্যাট করে আরও এক কাপ চা খেয়ে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে। ঘড়িতে সাড়ে সাতটা বাজে ।আরো আধঘণ্টা হাতে সময় আছে ।নিমিষা গান শুনতে থাকে আর নজর দিয়ে ঘরটা জরিপ করতে থাকে। তার খালি মনে হতে থাকে দাদাভাইয়ের ঘরের মতো সব ঘরে ক্যামেরা নেই তো !আবার ভাবে যদি থাকে তাহলে তো তাদের সমস্ত রকমের ছবি উঠবে। যদিও সেই ভয়ে সে বাথরুমে ড্রেস চেঞ্জ করেছে ।তবে বাথরুমেও থাকতে পারে ।যা লোক মনে কোনো দয়ামায়া আছে বলে মনে হয় না।
আটটা বাজার 10 মিনিট আগে নিমিষা ঘর হতে বের হয়ে নিচে নামে।সিঁড়ির মুখে তিতিক্ষার সঙ্গে দেখা হয়। গুড মর্নিং বলে দুজনে একসাথে নেমে এসে টেবিলে বসে। দেখে তখনো কেউ আসেনি। একে একে সবাই আসতে থাকে।
আটটার ঘণ্টা বাজতেই অমলেন্দু এসে বসেন তার চেয়ারে। সবাইকে গুড মর্নিং বলে ব্রেকফাস্ট শুরু করতে বলেন ।খেতে খেতে সবাই টুকটাক কথাবার্তা বলে। খাওয়া শেষে উনি বলেন, আজ থেকে তোমাদের কাজ শুরু করবে তোমরা। আমি আমার স্টাডিরুমে আছি। বল কে কোথা থেকে শুরু করবে? হ্যাঁ রান্নাঘর করতে হবে না ।সবাই যে যার পছন্দ মতো জায়গা বলে।
নিমিষা বলে ,শুরু যখন করতেই হবে আমি আমার ঘর থেকে শুরু করব ।
অমলেন্দু এক দৃষ্টিতে নিমিষার দিকে তাকিয়ে থেকে বলেন, বেশ তাই হোক। এইসব ঘরের আলমারির চাবি গোপালের কাছে আছে। আর সব ঘরের দরজার চাবিও। আমার আলমারির প্রতিটি জিনিস সাবধানে পরিষ্কার করবে। বলে উনি চলে যান নিজের স্টাডিরুমে ।
ওরা সবাই টেবিলে বসে আরও কিছু সময় আড্ডা দেয়। তারপর 9 টা বাজতেই নিজের নিজের কাজে চলে যায়। নিমিষা ঘরে এসে সব কোনা ঝাড়ন দিয়ে পরিষ্কার করতে থাকে ।টেবিল-চেয়ার ,খাটের তলা, আলমারির তলা, আলোর স্ট্যান্ড সব ভালো করে দেখে নেয় । পরিষ্কার করতে করতে হঠাৎ সে দেখে টেবিলের ড্রয়ারে হাতলটা একটু অদ্ভুত ধরনের ।নাড়াচাড়া করতে গিয়ে বুঝতে পারে একটা ছোট আধুনিক মডেলের মাইক্রোফোন। সে ঘরে যা কথা বলবে সব রেকর্ড হয়ে যাবে। সে মুচকি হেসে ড্রয়ার পরিষ্কার করতে গিয়ে সে ড্রয়ার ধরে টানাটানি করার ছল করে ড্রয়ারের হাতলের মুন্ডিটা ভেঙ্গে ফেলে। তারপর সেটা নিয়ে গিয়ে কমোডে ফেলে দেয়।
অমলেন্দু নিজের ঘরে বসে বসে হঠাৎ নিমিষার ঘরের কথা বলার আওয়াজ বন্ধ হয়ে যেতে বুঝতে পারেন নিমিষা মাইক্রোফোনের কারসাজি ধরে ফেলেছে। অমলেন্দু বুঝে যান এই নিমিষা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। তার প্রয়োজন এই মেয়েই পূরণ করতে পারবে। তাই তিনি মনে মনে হাসেন। ভাবেন মেয়ে তুই নিজেই বাঘের খাঁচায় ধরা দিলি।
ঘরে বসে নিমিষা ভাবে, তুমি যদি নিজেকে শের ভাবো তো আমিও শেরের বাচ্চা । আমাকে কাবু করা তোমার কর্ম নয়।
লাঞ্চের সময় নিমিষা বলে, তার কাজ শেষ হয়ে গেছে। এবার সে কি করবে! ঘর তো আর পরিষ্কার করতে লাগবেনা। আর ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে তার ড্রয়ারের হাতলের একটা মুন্ডি ভেঙে গেছে। কোথায় পড়ল সে আর খুঁজে পাচ্ছে না ।
অমলেন্দু বলেন সারিয়ে দেওয়া হবে ।আর তোমাকে কিছু করতে হবে না। তোমার কাজ তুমি শেষ করেছ। আজ তোমার ছুটি।
নিমিষা বলে , আমার পড়ার কি হলো ?
অমলেন্দু গোপালকে ডেকে বলেন ,লাইব্রেরীর চাবি খুলে দাও ।গোপাল লাইব্রেরী খুলে দিলে তিনি নিমিষাকে বলেন ,ওইখানে অনেক বই আছে তোমার পড়ার সব বই পেয়ে যাবে ।তুমি লাইব্রেরীতে গিয়ে পড়ে নেবে ।কিন্তু তুমি কাজ কখন করবে ?
নিমিষা বলে ,অবশ্যই কাজ করব । আমি কাজে ভয় পাইনা ।কাজের মধ্যে থাকতে বেশি পছন্দ করি। বলেই লাঞ্চ শেষ হয়ে গেলে নিজের ঘরে চলে যায়।
রাতে ডিনার টেবিলে অমলেন্দু তাকে বলেন ,কাল থেকে তুমি লাইব্রেরী পরিষ্কার করবে ও সেই ফাঁকে পড়াশোনা করে নেবে। বেশ কয়েকদিন লাগবে। তবে ওখানে তোমার অনেক বই পেয়ে যাবে যা তোমার কাজে লাগবে । আর তোমার সাথে থাকবে কৃদন্তী। ওখানে কৃদন্তীও তার রিসার্চএর জন্য অনেক বই পেয়ে যাবে। আর দরকারে আমি তো আছি। কৃদন্তী তোমার কোন অসুবিধা হলে আমার স্টাডি রুমে চলে এসো । অমলেন্দু চলে যান নিজের স্টাডিরুমে ।
আজ ওরা সবাই গল্প করতে থাকে। সবাই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে থাকে ।
দীপন বলে সবচেয়ে ফাঁকিবাজি কাজ ছিল নিমিষার।
সবাই বলে, কেন কেন ?
দীপন বলে, নিজের ঘর গোছানোর নাম করে কয়েক রাউন্ড ঘুমিয়ে নিল ।
নিমিষা বলে, তোমরা ঐ বুদ্ধি কাজে লাগাতে পারতে। তবে দেখো কাল থেকে আমার কাজ সবথেকে কঠিন।লাইব্রেরী ঘর পরিষ্কার করে আবার সব বই গুছিয়ে রাখা খুব কষ্টের।
অনির্বাণ বলে ,তুই চাইলে আমি তোকে হেল্প করতে পারি অবশ্যই বসের পারমিশনে।
সবাই হেসে ওঠে। যে লোকটা আমাদের দাদু হতে পারত সে হয়ে গেল বস। ভারি আজব না! তিতিক্ষা বলে।
সবাই তিতিক্ষার কথায় সায় দেয়।
দীপা জিজ্ঞাসা করে , নিমিষা তোর কি সাবজেক্ট ?
আমার ফিজিক্স অনার্স সাথে ম্যাথ আর কম্পিউটার। বাহ আমি তো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার দীপা বলে।
অনির্বাণ বলে , আমার কেমিস্ট্রি …..
তিতিক্ষা বলে ,আমি ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার ….
দীপন বলে, আমি গোবেচারা বাংলাসাহিত্য নিয়ে পাস …
শ্যামল বলে ,আমি কমার্সের ….
আমি মাথামেটিকস সুবোধ বলে ….
কৃদন্তী বলে ,আমি ফিজিক্স নিয়ে রিসার্চ করছি ….
শুভময় আর তন্ময় দুজনেই মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার। সবাই ছয়মাসের জন্য ছুটি নিয়ে এসেছে। শুধু কৃদন্তী এখানে থেকেই তার রিসার্চ চালিয়ে যাবে ।আর নিমিষা কলেজের পড়া করবে ।
সবাই সবার বায়ো-ডাটা জেনে নিয়ে শুতে চলে যায়।
ক্রমশঃ
**************