উপলব্ধি (জীবনের আয়না) ** কলমে -আরতি সরকার

উপলব্ধি (জীবনের আয়না)
কলমে -আরতি সরকার
সারাদিনের ক্লান্ত অবসন্ন মন নিয়ে যখন অন্ধাকারের দিকে তাকাই, অজস্র জ্যোতিষ কণা চোখের সামনে ভেসে ওঠে – তখন মনে মনে ভাবি, সেই অন্ধকারের মাঝে লুকিয়ে আছে আলো, যার সৌন্দর্য অস্বীকার করা যায় না – তবে কেন শুধু কেন অন্ধকার নিয়ে বেঁচে থাকা, এই অনন্ত আলোর সমুদ্রে কি ডুব দিতে পারি না!
অন্ধকারের পরে আলো! সকালের নতুন সূর্যের আলোয় মনে হলো জীবন বড়ো সুন্দর – সমস্ত চাওয়া পাওয়ার ঊর্দ্ধে – সমস্ত গ্লানি মুছে গিয়ে ভরে গেছে অসীম পরিপূর্ণতায়! আমি ঋদ্ধ হলাম – সময় বড়ো অল্প –
নিজেকে আলোয় উদ্ভাসিত করে দিতে হবে।
না আর দেরি নয়!
আলোর দিকে তাকিয়ে দেখো জ্বলছে কেমন ঝকমকিয়ে।
নেই কি ওদের কোনো ব্যথা বুকের মাঝে জমাট বাঁধা! অন্ধকার মেঘও আনে বৃষ্টির ছটা সেই বৃষ্টিতে ভিজিয়ে নিও, নিজের মনের দুঃখ যত।
ঝকমকিয়ে বৃষ্টি ভেজা, সেই আনন্দে বিভোর থেকো।
মনে রেখো, অল্প সময়, জীবনটাকে আগলে রেখো।
ছোট ছোট অনেক পাওয়া, খুশি দিয়ে ভরিয়ে দিও।
না পাওয়ার গল্পগুলো ভাসিয়ে দিও, বানের জলে।
দেখবে তুমি পৌঁছে গেছ নিজের কাছে।
নিজেই বাঁচো, নিজের মতো।
আকাশ পানে তাকিয়ে দেখো,
কতো তারা গল্প বোনে,
তাদের কাছে শিখে নিও-
কেমন করে বাঁচতে হবে-
লুকিয়ে থাকা সকল ব্যাথা
কাব্য করে সাজিয়ে নিও!!
কবিতা র সৃষ্টি হৃদয়ের উৎস হতে, হৃদয় যখন ক্ষত বিক্ষত হয়, ভেঙে যায় খন্ড খন্ড হয়ে, মনের আকাশে জমা হয় অজস্র শব্দ -কিছু শব্দের অকাল মৃত্যু হয়….আর কিছু শব্দ ঝরে পড়ে বিন্দু বিন্দু ফোঁটা হয়ে …. আমরা তাকে অতি যত্নে সাজিয়ে ধরি কবিতার আকারে, আমরা
সৃষ্টি করি জীবনের এক নতুন অনুভূতি কে, জীবনের সঙ্গে মিশে থাকা অভিজ্ঞতা কে!
**