গৃহবধুকে কুপ্রস্তাব, রাজি না হওয়ায় বিকৃত ছবি প্রকাশের হুমকি

১লা মে, দিনাজপুর ডেইলি ডেক্সঃ এক ব্যক্তির কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি। ঘটনার প্রতিবাদ করায় গৃহবধূ ও তার মাকে মারধর। বালুরঘাট থানার অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরমাইল এলাকার ঘটনা। বালুরঘাট থানায় মূল অভিযুক্ত বিদ্যুৎ মণ্ডল সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত গৃহবধূ। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। অন্য দিকে ওই গৃহবধূর মা বর্তমানে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গৃহবধুকে কুপ্রস্তাব, রাজি না হওয়ায় বিকৃত ছবি প্রকাশের হুমকি

জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়া কুরমাইল এলাকার ওই গৃহবধূর ১২ বছর আগে বিয়ে হয় হিলি থানার ত্রিমোহিনীর রামজীবনপুর এলাকাতে। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ি কুরমাইল এলাকার বিদ্যুৎ মণ্ডল নামে এক বিবাহিত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় সম্প্রতি একটি ছবি বিকৃত করে গ্রামের বিভিন্ন মানুষকে দেখানো হচ্ছিল এবং এমনকি সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল তাকেও।
অভিযোগ, এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় গতকাল রাতে গৃহবধূ ও তার মাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় এই অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার সঙ্গী সাথীরা। এই ঘটনায় জখম গৃহবধূর মাকে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপরে ওই গৃহবধূ বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এবিষয়ে গৃহবধূর ভাই অরুন রবিদাস জানান, “আমি ওই সময় বাড়িতে ছিলাম না। কিন্তু অভিযুক্তরা কিছুদিন ধরেই আমার দিদিকে বদনাম করার চেষ্টা করছিল। তার ছবি বিকৃত করে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। দিদি যার প্রতিবাদ করায়, দিদি ও মাকে বাড়ি ঢুকে মারধর করে।”

অন্যদিকে অভিযুক্তদের পরিবারের তরফেও বালুরঘাট থানায় পালটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিদ্যুৎ মণ্ডলের ভাই বিকাশ মণ্ডল জানান, “তাদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। পাড়ায় ওই পরিবারের সম্পর্কে সবাই জানে। ওই মহিলার নামে তিনবার গ্রামে সালিসি সভা বসেছে। তার বাড়ির লোকজন তার মাকে মারধর করেছে। পুলিশ গিয়ে সব তদন্ত করে এসেছে। তাদের ফাঁসানো হচ্ছে।”

এবিষয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ জানিয়েছেন, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *